Hi this is Asif.আমার সাইটকে আপডেট করা হয়েছে। এখন থেকে আপনারা এখান থেকে নতুন অডিও গান,ভিডিও গান,ফুল ভারশন সফটওয়্যার,মোবাইল রিংটোন ও সফটওয়্যার,ওয়ালপেপার ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া আরো পাবেন নানা আজানা তথ্য,ধন্যবাদ। .

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা”



বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বা আমাদের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বর্তমানে অনেক বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়। অনেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন করা স্বরলিপি ও সুর অনুসরণ করছে না, যার ফলে জাতীয় সঙ্গীত বিকৃত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। আবার অনেকে (আপনি কি জাতীয় সঙ্গীত সর্ম্পূন গাইতে পারেন? মনে মনে একবার গেয়ে দেখুন তো, পারবেন কিনা) সর্ম্পূণ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারে না। এরই ফলে অনেক সময় বিশ্ব-দরবারে লজ্জিত হচ্ছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। জাতীয় সঙ্গীত একটি জাতির পরিচয় এবং গৌরবের প্রতিক। তাই জাতীয় সঙ্গীতকে জানা এবং যথাযথ সম্মান করা প্রত্যেকটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। এরই প্রেক্ষাপটে আসুন জেনে নিই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় সঙ্গীতের অজানা কিছু তথ্য।
আমার সোনার বাংলা
=> ১৮৮৯ থেকে ১৯০১ পর্যন্ত বারো বছর পূর্ববঙ্গের শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে জমিদারীর কাজে থাকাকালীন সময়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “আমার সোনার বাংলা” কবিতাটি লিখেন। কবিতাটির পাণ্ডুলিপি না পাওয়ায়, এর সঠিক রচনাকাল জানা যায় নি।
=> “আমার সোনার বাংলা” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বরবিতান ৪৬-এর গীতবিতানের ‘স্বদেশ’ শীর্ষক প্রথম গান।
=> গানটির বিষয়বস্তুতে বিশেষ ভাবে স্থান পাই বাংলার প্রকৃতি।
=> বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আদর্শগত চেতনা হতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গান হিসেবে “আমার সোনার বাংলা” কবিতাটি ব্যবহার করেন।
(এর মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল পুর্ব ও পশ্চিম উভয় বঙ্গকে একত্রীভুত করা)
=> গানটি রচিত হয়েছিল শিলাইদহের বাউল গগন হরকরা (অনেকের মতে, গগন হরকরা একজন ডাক-পিয়ন ছিলেন) রচিত “আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে” গানটির সুরের অনুকরণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই গানটির সুর করেন।
রবীন্দ্রনাথ নিজেই লিখেছেন – “আমার লেখা যারা পড়েছেন, তাঁরা জানেন, বাউল পদাবলীর প্রতি আমার অনুরাগ আমি অনেক লেখায় প্রকাশ করেছি | শিলাইদহে যখন ছিলাম, বাউল দলের সঙ্গে আমার সর্বদাই দেখা সাক্ষাৎ ও আলাপ আলোচনা হত | আমার অনেক গানেই আমি বাউলের সুর গ্রহণ করেছি | এবং অনেক গানে অন্য রাগরাগিণীর সঙ্গে আমার জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে বাউল সুরের মিল ঘটেছে | এর থেকে বোঝা যাবে, বাউলের সুর ও বাণী কোন্ এক সময়ে আমার মনের মধ্যে সহজ হয়ে মিশে গেছে |…”
উত্স – শান্তিদেব ঘোষ, রবীন্দ্র সঙ্গীত, পৃষ্ঠা-৮৪
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মন্ত্রশিষ্য ও ছায়া সঙ্গী শান্তিদেব ঘোষ আরও লিখেছেন যে “ “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায়
ভালবাসি” গানটি তিনি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) রচনা করেছেন গগন হরকরার রচনা—
“আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে ||
হারায় সেই মানুষে তার উদ্দিশে
দেশ বিদেশে
আমি দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে” গানটির সঙ্গে মিলিয়ে।”
উত্স – শান্তিদেব ঘোষ, রবীন্দ্র সঙ্গীত, পৃষ্ঠা-১৩০
“আমি কোথায় পাব তারে,
আমার মনের মানুষ যে রে”
আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে,
হারায়ে সেই মানুষে
তার উদ্দেশ্য বেড়াই ঘুরে,
আমি বেড়াই ঘুরে
দেশে দেশে,
কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে।
লাগে সেই হৃদয়-শশী
সদা প্রাণ হয় উদাসী,
পেলে মন হত খুশী
দিবানিশি দেখতাম নয়ন ভরে,
আমার প্রেমানলে মরার জ্বলে
নিভাই কেমন করে,
মরি, হায়, হায় রে মরি,
প্রেমানলে মরার জ্বলে
নিভাই কেমন করে,
ও তার বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে
ওরে দেখনা তোরা,
ওরে দেখনা তোরা হৃদয় চিরে
আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে।
দিব তার তুলনা কী
যার প্রেমে জগৎ সুখী,
হেরেয়ে জুড়ায় আঁখি
সামান্যে কি দেখতে পাবি তারে,
তারে যে দেখেছে সেই মজেছে
ছাই দিয়ে সংসারে,
মরি, হায়, হায় রে মরি
যে দেখেছে সেই মজেছে
ছাই দিয়ে সংসারে,
ও রে না জানি কি
কুহক জানে অলক্ষে মন,
ও রে অলক্ষে মন চুরি করে,
আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে।
কুল মান সব গেল রে
তবু না পেলাম তারে,
প্রেমের লেশ নাই অন্তরে
তাই তো মোরে
দেয় না দেখা সে রে,
ও তার বসত কোথায় না জেনে কয়
গগন ভেবে মরে,
যদি সেই মানুষের হদিস জানিস
কৃপা করে, আমার সুহৃত্ হয়ে, আমার ব্যথিত হয়ে,
বলে দে রে
কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে,
হারায়ে সেই মানুষে
তার উদ্দেশ্য বেড়াই ঘুরে,
আমি বেড়াই ঘুরে দেশে দেশে,
কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে,
আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে।
“আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে” 
=> “আমার সোনার বাংলা” ১৯০৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর (১৩১২ বঙ্গাব্দের ২২ ভাদ্র) সঞ্জীবনী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের সাক্ষরে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। একই বছর বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যাতে কবিতা হিসেবে প্রকাশিত হয়।
(বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞানের বই এ, “আমার সোনার বাংলা” সর্বপ্রথম বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে)
=> সত্যেন রায়ের রচনা থেকে জানা যায়, ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট, কলকাতার টাউন হলে আয়োজিত বঙ্গভঙ্গ বিরোধী একটি সমাবেশের প্রতিবাদ সভায় এই গানটি প্রথম গাওয়া হয়েছিল। তবে ৭ আগস্ট উক্ত সভায় এই গানটি গাওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। বিশিষ্ট রবীন্দ্রজীবনীকার প্রশান্তকুমার পালের মতে, আমার সোনার বাংলা ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ আগস্ট কলকাতার টাউন হলে অবস্থা ও ব্যবস্থা প্রবন্ধ পাঠের আসরে প্রথম গাওয়া হয়েছিল।
=> গানটি প্রথম রেকর্ড করা হয় শিল্পী গোপালচন্দ্র সেনের কন্ঠে।
গোপালচন্দ্র সেনের কন্ঠে “আমার সোনার বাংলা” 
=> চলচ্চিত্রকার শহীদ জহির রায়হানের নির্মিত বিখ্যাত “জীবন থেকে নেওয়া” (১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত) চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহার করেন।
“জীবন থেকে নেওয়া” চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত “আমার সোনার বাংলা” 
=> ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ পল্টন ময়দানে “স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ” তাদের ইশতিহারে গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করে।
=> ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল ১৭ এপ্রিল মুজিব নগরে গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের (মুজিব নগর সরকার) শপথ অনুষ্ঠানে এই গান প্রথম জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হয়।
=> বর্তমানে প্রচলিত যন্ত্রসুর করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার অজিত রায়। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যন্ত্রসুর করেন।
=> ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার গানটির প্রথম দশ লাইন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যন্ত্রসঙ্গীতে ও সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার করা হয় প্রথম চারটি লাইন।
“আমার সোনার বাংলা” (দশ লাইন)
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস,
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রাণে পাগল করে–
(মরি হায়, হায় রে)
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে,
(আমি) কী দেখেছি মধুর হাসি।।
কী শোভা, কী ছায়া গো,
কী স্নেহ, কী মায়া গো–
কী আঁচল বিছায়েছ
বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।।
মা, তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো–
(মরি হায়, হায় রে)
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে
আমি নয়নজলে ভাসি।।

=> “আমার সোনার বাংলা” কবিতাটিতে মোট ২৫ টি চরণ আছে।
“আমার সোনার বাংলা” সম্পূর্ণ (পঁচিশ চরণ) গান
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।
তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিল রে,
তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।
তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,
মরি হায়, হায় রে
তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি।
ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবারখেয়াঘাটে,
সারাদিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,
তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,
মরি হায়, হায় রে
ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, তোমার রাখাল তোমার চাষি।
ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে
দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,
মরি হায়, হায় রে
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ বলে গলার ফাঁসি।
“আমার সোনার বাংলা” সম্পূর্ণ (পঁচিশ চরণ) 
=> “আমার সোনার বাংলা” গানটি ইংরেজিতে প্রথম অনুবাদ করেন অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান।
>“আমার সোনার বাংলা” (ইংরেজিতে)
My Bengal of gold, I love you
Forever your skies, your air set my heart in tune
as if it were a flute.
In Spring, Oh mother mine, the fragrance from
your mango-groves makes me wild with joy-
Ah, what a thrill!
In Autumn, Oh mother mine,
in the full-blossomed paddy fields,
I have seen spread all over-sweet smiles!
Ah, what a beauty, what shades, what an affection
and what a tenderness!
What a quilt have you spread at the feet of
banyan trees and along the banks of rivers!
Oh mother mine, words from your lips are like
Nectar to my ears!
Ah, what a thrill!
If sadness, Oh mother mine, castsa gloom on your face,
my eyes are filled with tears!
=> ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহার করা “আমার সোনার বাংলা” গানটির স্বরলিপি বিশ্বভারতী সঙ্গীতবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
=> ২০০৬ সালে বিবিসির শ্রোতা জরিপে “আমার সোনার বাংলা” গানটি শ্রেষ্ঠ বাংলা গান হিসেবে নির্বাচিত হয়।
=> ২০০৬ সালে আইনজীবী কালিপদ মৃধা মোবাইলের রিং টোন এবং ওয়েলকাম টোন হিসেবে জাতীয় সংগীতের বাণিজ্যিক ব্যবহারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সঙ্গীতকে মোবাইল ফোনে রিংটোন হিসেবে এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। আদালত গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছিলো।
=> ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে অংশ নেয়া ২০৫ টি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের তুলনামূলক বিচারে দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকার মতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত দ্বিতীয় হয়। উরুগুয়ের জাতীয় সঙ্গীত প্রথম হয় এবং তৃতীয় হয় তাজাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত।
=> “আমার সোনার বাংলা” জাতীয় সঙ্গীতের লেখক কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একমাত্র ব্যাক্তি যার লেখা ও সুর করা তিনটি গান জাতীয় সঙ্গীত (বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা)। অনেকে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথের লেখা, তা জানলে ও শ্রীলংকার জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথের লেখা তা জানেন না। ১৯৩৮ সালে, রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ছাত্র আনন্দ সমরকুন তার(শ্রীলংকা) দেশের জন্য একটি গান লিখে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি (কবি গুরু) বাংলায় “নম নম শ্রীলংকা মাতা” গানটি লিখে এবং সুর করে দেন। আনন্দ সমরকুন গানটি সিংহলী ভাষায় অনুবাদ করেন, যা বর্তমানে শ্রীলংকার জাতীয় সঙ্গীত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন