ডুয়েল ডিসপ্লে বলতে সাধারণত বোঝানো হয় যেসব কম্পিউটারে একইসঙ্গে দু’টি ডিসপ্লে বা মনিটর সংযুক্ত থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর, পেজ মেজার ইত্যাদি বিভিন্ন পেশাদারদের কাজে দ্বিগুণ গতি এনে দেয় এই ডুয়েল ডিসপ্লে। কেননা, এর ফলে তাকে বারবার উইন্ডো সুইচ করতে হয় না। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার ল্যাপটপটিও যদি এমন ডুয়েল ডিসপ্লে হতো, তাহলে কেমন হতো?
অবাক হচ্ছেন? নিজের ছবিটি দেখুনঃ
হ্যাঁ, ইতিমধ্যেই মুখ হাঁ হয়ে গিয়ে থাকলে মুখ বন্ধ করে ফেলুন। কারণ, আসছে নভেম্বরেই বাজারের মুখ দেখতে যাচ্ছে এই জিস্ক্রিন স্পেসবুক ২-স্ক্রিন ল্যাপটপ। এটি ফোল্ড করে খোলার পর স্লাইড করে দু’টি স্ক্রিন খুলে ফেলা যাবে। উপরের ছবিতেই বুঝতে পারছেন যেসব ডিজাইনার বা এডিটর ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের জন্য এটি কতোটা কাজে আসতে পারে। আর এর কনফিগারেশনও কিন্তু যা-তা নয়। দু’টি ১৭” এলইডি এইচডি মনিটরসমৃদ্ধ ৪ অথবা ৮ গিগাবাইট র্যাম এবং ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস রয়েছে যাকে বলা হচ্ছে টু-হেডেড বিস্ট বা দুই-মাথা বিশিষ্ট শক্তিশালী জন্তু!
ইতিমধ্যেই সবার মনে যেই সাধারণ প্রশ্নটি চলে এসেছে তা হলো এর ওজন। এর ওজন কিন্তু মোটেই খুব বেশি নয়। মাত্র ১০ পাউন্ড। তুলনার জন্য বলছি, একটি ১৭” ম্যাকবুক প্রো-এর ওজন ৬.৬ পাউন্ড এবং ১৭” এইচপি এনভি’র ওজন ৭.৬ পাউন্ড। সেই তুলনায় একটি মনিটরের জন্য ২.x পাউন্ড মোটেই অতিরিক্ত কিছু নয়।
তবে সুবিধা বেশি পেতে হলো খরচও একটু বেশিই করতে হবে। এই ল্যাপটপের দাম ধরা হয়েছে ১৮৯৯ ডলার থেকে ২১০০ ডলার (৭১ টাকা = ১ ডলার হিসেবে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮২৯ থেকে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত)। নভেম্বরেই এটি বাজারে আসার কথা রয়েছে।
তো কে কে কিনছেন এই ল্যাপটপ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন