ইংরেজিতে টাইপ করলে বাংলায় অনুবাদ
অফিসে বসে কম্পিউটারে একটা বাংলা দরখাস্ত টাইপ করছিলাম। টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিলাম, প্রিন্ট বের হচ্ছে না। ব্যাপার কী ঠিক বুঝলাম না। যা-ই হোক, বের যখন হচ্ছে না, এটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না আমি; অন্য একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এ সময় আমার পাড়াতো ছোট ভাই মুরাদ এল (সে মাঝেমধ্যে এসে আমার অফিসে টুকটাক কাজ করে নিয়ে যায়)। সে এসেই কী একটা ইংরেজি দরখাস্ত টাইপ করতে লেগে গেল। আমি আমার কাজে ব্যস্ত রইলাম। মুরাদ টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিল এবং সে দেখি আঁতকে উঠল, ‘একি, টাইপ করলাম ইংরেজিতে, বেরোচ্ছে বাংলায় দরখাস্ত!’ আমি তখন বুঝে গেছি দরখাস্তের ভাষা তো প্রায় একই। আমার বাংলা দরখাস্তটা তখন বের হয়নি কোনো কারণে, মেমোরিতে রয়ে গিয়েছিল, এখন সেটা বেরোচ্ছে। মুরাদ আমায় জিজ্ঞেস করল, আমি এমন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করেছি কি না, যেটা ইংরেজিতে টাইপ করলে বাংলায় অনুবাদ হয়ে যায়। আমি এবার একটা ভাব নিলাম, ‘হ্যাঁ, নতুন একটা সফটওয়্যার বাজারে এসেছে, তুই জানিস না?’ মুরাদ বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে রইল!
কী তার দেমাগ
কম্পিউটার-টেবিলের নিচে এক ইঁদুর আরেক ইঁদুরকে বলছে, ‘এই টেবিলটার ওপর একটা সাদা ইঁদুর আছে, নিচে নামেই না, কী তার দেমাগ!’
ফটোকপিতে ভুল
এক লোক কিছু কাগজ ফটোকপি করে খুব মন দিয়ে অরিজিনাল কাগজগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে লাগল। আরেকজন প্রশ্ন করল, ‘এত মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন?’ লোকটি বলল, ‘দেখছি, ফটোকপিতে কোনো ভুল হয়েছে কি না ?’
সবাই সেলফোন ব্যবহার করতো
একবার এক সম্মেলনে, একজন বাংলাদেশী এবং একজন আমেরিকান প্রাচীনকালের প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বলছিল, তো কথোপকথনে তারা তাদের নিজ নিজ দেশের অবস্থান আলোচনায় নিয়ে আসেন,
দু’জনের মধ্যেই কথা কাটাকাটি চলছে-
বাংলাদেশী: আমরা প্রাচীন কালে প্রযুক্তি বিদ্যায় অনেক অগ্রসর ছিলাম। তোমাদের মতো সাদা চামড়ার মানুষই আমাদের বর্তমান দুর্গতির কারন।
আমেরিকান: তোমরা তখনও মাথামোটা ছিলে এখনও তাই, প্রযুক্তি ট্রযুক্তি কিছু না, তোমাদের স্থুল বুদ্ধিই তোমাদের দুর্গতির কারন। আর চিকন বুদ্ধির কারনেই আমরা তখন আর এখন দুই সময়েই প্রযুক্তিতে উন্নত।
তো যাই হোক, দু’জনেই তাদের নিজ নিজ যুক্তি পোক্ত করার উদ্দেশ্যে, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের জন্য তাদের স্বদেশে ফিরে গেলেন ।
কিছুদিন পরে, আমেরিকান লোকটি খনন কাজ শুরু করলো এবং খনন শেষে একটি পুরানো পেঁচানো তার উদ্ধার করলো।
তারপর সে সম্মেলনে ফিরে এসে বর্ণনা করলো- আমেরিকান সভ্যতা প্রাচীন কালেও অনেক অগ্রসর ছিলো কেন না এই তারটি প্রমান করে যে সেই সময়ে আমেরিকার মানুষ টেলিফোন ব্যবহার করতো।
এরপর বাংলাদেশী লোকটি দেশে ফিরে খনন কাজ শুরু করলো।
অনেক খোড়াখুড়ির পরেও লোকটি কিছুই উদ্ধার করতে পারলো না।
তো সম্মেলনে ফিরে লোকটি বর্ণনা করলো, বাংলাদেশের সভ্যতা প্রাচীন কালে বর্তমানের চেয়েও বেশী উন্নত ছিলো। তখন গ্রামে গ্রামে সবাই সেলফোন ব্যবহার করতো কেন না খনন কাজে আমরা কোন টেলিফোন তার পাই নি।।
কপি রেখে ডিলিট
: স্যার, পিসিতে ২০ বছর আগের প্রচুর ডাটা আছে, ওগুলো ডিলিট করে দিই?
: অবশ্যই, তবে কপি রেখে ডিলিট কোরো কিন্তু।
ইন্টারনেটের যুগে
ছোট্ট এক বাচ্চা স্কুলে যাচ্ছে। পথিমধ্যে এক পরিচিত বয়স্ক লোকের সঙ্গে তার দেখা। তিনি রসিকতা করে ছেলেটিকে উদ্দেশ করে বললেন, বাবু তোমার পোস্ট অফিস তো খোলা।
ছেলেটিও কম যায় না। ঝটপট উত্তর দিল, সেকি আঙ্কেল! আপনি তো দেখি ব্যাক ডেটেড। এই ইন্টারনেটের যুগেও আপনি পোস্ট অফিসের দিকে তাকিয়ে আছেন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন